মৌমাছির অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা এবং ব্যাখ্যা

 

মৌমাছির অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা এবং ব্যাখ্যা

মৌমাছির অর্থনৈতিক গুরুত্ব

মধুর গুরুত্ব/ খাদ্য হিসেবে মধুর গুরুত্ব

  • ১। মধু একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। প্রাচীনকাল থেকে অদ্যবধি মধুর গুণাগুণ বিশেষভাবে সমাদৃত। মধু নানাভাবে আমাদের শরীরের পুষ্টি সাধন করে শক্তি জোগায়।
  • ২। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন মধু হতে তৈরি করা হয়।
  • ৩। বিভিন্ন প্রকার তরল মিষ্টি জাতীয় খাবার মধু দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।
  • ৪। মধুতে যে গ্লুকোজ থাকে তা সরাসরি রক্ত দিয়ে শোষিত হয় ও দেহে শক্তি জোগায়।
  • ৫। মধুর আমিষ দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ করে।
  • ৬। মধুর খনিজ লবণ আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সজীব রাখে।
  • ৭। মধুর রিবোফ্লাভিন; নিকোটিনিক এসিড মানুষের দেহের সুস্থতা ও সজীবতা রক্ষা করে ।
  • ৮। ভিটামিন বি আমাদের স্নায়ুকে সুস্থ, সবল ও সতেজ রাখে।
  • ৯। মধুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের হাড় গঠনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে।
  • ১০। এছাড়া মধুতে এমন অনেক গুণাবলি রয়েছে যা আমাদের শরীরকে বিভিন্নভাবে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে । সবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ২০০ গ্রাম মধুতে ১.১৩৫ কেজি পরিমাণ দুধ বা ১০টি ডিমের সমান পুষ্টি বিদ্যমান।

ঔষধ হিসাবে মধুর গুণ

  • ১। মধু অসুস্থ রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
  • ২। আয়ুর্বেদীয় ঔষুধ প্রস্তুতিতে মধু ব্যবহৃত হয়।
  • ৩। বিভিন্ন ধরনের অসুখ যেমনঃ সর্দি-কাশি, শরীরের ব্যথা, বেদনা, শ্বাসকষ্ট, জ্বরে মধু বিশেষভাবে উপকারী।
  • ৪। বিভিন্ন ধরনের ক্ষত পঁচন, পোড়া জায়গায় মধু লাগালে উপকার হয়।
  • ৫। জিহ্বার আলসারে মধু ব্যবহৃত হয়।
  • ৬। বহুমূত্র, এলার্জি, গ্যাস্ট্রিক ও আলসার ইত্যাদিতে রোগের ঔষধ হিসাবে মধু ব্যবহৃত হয়।
  • ৭। বিভিন্ন প্রকার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুতিতে বাহক হিসাবে মধু ব্যবহৃত হয়।
  • ৮। টাইফয়েড-আমাশয় রোগে মধু খেলে উপকার হয়।
  • ৯। মধু মিশ্রিত মৌরুটি ক্যান্সার রোগে নিরাসণে ব্যবহৃত হয়। 

অন্যান্য ক্ষেত্রে মধুর গুণাগুণ

  • ১। মধু লোশন ও ক্রিম তৈরিতে অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • ২। মধু জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • ৩। উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং শিকড় সৃষ্টিতে মধু বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • ৪। নিরোধক দ্রবণ তৈরিতে মধু ব্যবহৃত হয়।

মোমের গুণাগুণ

  • ১। বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য তৈরির জন্য মোম ব্যবহৃত হয়।
  • ২। প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে মোম ব্যবহৃত হয়।
  • ৩। মোমবাতি তৈরিতে মোম ব্যবহৃত হয়।
  • ৪। আসবাবপত্র জ্বালানি তৈল তৈরিতে মোম ব্যবহৃত হয়।
  • ৫। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মডেল, রং, বার্নিশ প্রস্তুত করার জন্য মোম ব্যবহৃত হয়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ