মৃত্তিকা বা মাটি কী এবং মৃত্তিকার প্রকারভেদ

 

মৃত্তিকা বা মাটি কী এবং মৃত্তিকার প্রকারভেদ

মৃত্তিকা বা মাটি কী

পৃথিবীর জীবজগৎ তথা উদ্ভিদ এ প্রাণীকূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান মৃত্তিকা। মানুষ তার প্রয়োজনীয় সবকিছুই মৃত্রিকা (মাটি) থেকে লাভ করে থাকে। এর গুণাগুণের ওপর একটি দেশের কৃষিকার্যের উন্নতি নির্ভরশীল। মৃত্তিকা বা মাটি হলো মানুষের একটি মৌলিক সম্পদ। এর উৎপত্তি প্রধানত আদি শিলা হতে এবং এতে উদ্ভিদ জন্মগ্রহণ করতে সক্ষম। মৃত্তিকা পৃথিবীর উপরিভাগে এক পরিবর্তনশীল কঠিন তিনমাত্রা বিশিষ্ট প্রাকৃতিক আবরণী সত্তা যা আবহাওয়ার প্রভাবে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ভূসংস্থানের জন্য বিভিন্ন স্তরবিন্যাসের শিলা কণা হতে উৎপত্তি লাভ করতো খনিজ ও জৈব পদার্থের সুসংমিশ্রণে গঠিত উদ্ভিদের জন্মস্থান।

মৃত্তিকা কাকে বলে

মৃত্তিকা বা মাটি হলো একটি প্রাকৃতিক সত্তা। আদি শিলা হতে প্রধানত এর উৎপত্তি এবংএতে উদ্ভিদ জন্মগ্রহণ করতে সক্ষম। সাধারণত শিলাসমূহের ভাঙন ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত খনিজ কণিকা, ক্ষয়িত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জৈব পদার্থ, জীবন্ত আণুজীক্ষণিক ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী, বায়ু এবং পানির সমন্বয়ে গঠিত ভূপৃষ্ঠের পাতলা আবরণকে মৃত্তিকা বা মাটি (Soil) বলে

মৃত্তিকার বিভিন্ন সংজ্ঞা

জ্ঞানী রমন (Ramann) এর মতে, “মৃত্তিকা হলো পৃথিবীর উপরিস্থিত সতত ক্ষয়শীল একটি স্তর।

বিজ্ঞানী হিলগার্ড (Hilgard) এর মতে, “মৃত্তিকা হলো একটি আলগা ঝুরঝুরে পদার্থ যার ভিতরে উদ্ভিদ শিকড় বিস্তার করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এবং বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে।

রাশিয়ান বিজ্ঞানী ডকুচেভ (Dakuchaev) এর মতে, “মৃত্তিকা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বস্তু যা আবহাওয়া, ভূসংস্থান ও সময়ের প্রভাবে শিলা ও জৈব পদার্থ হতে গঠিত।

মৃত্তিকাবিজ্ঞানী কিলগ (Kellog) বলেন, “মৃত্তিকা পৃথিবীর উপরিভাগের প্রাকৃতিক বস্তুসমূহের এমন সমষ্টি যা সূর্যতাপ, হিমবাহ, জলস্রোত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতির প্রভাবে সময়ের বিবর্তনে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে, যা গাছকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।"

মৃত্তিকার প্রকারভেদ

অশ্মমণ্ডলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মৃত্তিকা। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের বন্ধুরতা, জলবায়ু ও অন্যান্য নৈসর্গিক কারণের বিচিত্রতার সাথে বিচিত্র ধর্মের মৃত্তিকা দেখা যায়। মাটির এ বিচিত্রতাকে ভিত্তি করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মৃত্তিকাবিজ্ঞানিগণ মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে শ্রেণিবিভাগ করেন। ১৮৮০ সালে রাশিয়ান মৃত্তিকাবিজ্ঞানী ডকুচেভ (Dokuchaev) পৃথিবীকে বিভিন্ন অক্ষাংশীয় অঞ্চলে বিভক্ত করে মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ প্রমাণ করেন। পরবর্তীতে K. D. Glinka মৃত্তিকার কলরেডর সফলতার ওপর ভিত্তি করে আরও একটি শ্রেণিবিভাগ প্রমাণ করেন।

মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ

মৃত্তিকার উৎপত্তির সাথে সংশ্লিষ্ট নিয়ামকের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর মৃত্তিকাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়। নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. আঞ্চলিক মৃত্তিকা

মৃত্তিকার উৎপত্তিতে সবচেয়ে বেশি জলবায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে সমগ্র পৃথিবীর মৃত্তিকাকে যে শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে তাকে আঞ্চলিক মৃত্তিকা (Zonal soil) বলে। মৃত্তিকাবিজ্ঞানী Mr Marbul-এর মতে, “যে মাটিতে উৎপত্তির সক্রীয় উপাদান যেমনঃ জলবায়ু, জীবকার্য বিশেষ করে উদ্ভিদের প্রতি ফলনশীল সুউন্নত গর্বিত, এরূপ মৃত্তিকাকে আঞ্চলিক মৃত্তিকা (Zonal soil) বলে।” পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ুমণ্ডলের ভিত্তিতে আঞ্চলিক মৃত্তিকাকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয় । যথা:

ক. ক্রান্তীয় অঞ্চলের মৃত্তিকা : নিরক্ষরেখার উভয় পার্শ্বে প্রায় ৩০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশীয় অঞ্চলের গঠিত মৃত্তিকাকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের মৃত্তিকা বলে। স্থানীয় পরিবেশ ও আবহাওয়ামণ্ডলের বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এ অঞ্চলের মৃত্তিকা চার ধরনের হয়ে থাকে। যথা,

    i. ক্রান্তীয় লোহিত মৃত্তিকা : সাধারণত অধিক উত্তাপ ও বৃষ্টিপাতের জন্য মৃত্তিকার ধৌত প্রক্রিয়ার নির্ভরতা খুব বেশি থাকে। এ মৃত্তিকায় লোহের পরিমাণ অধিক বলে এর বর্ণ লাল দেখায়।

    ii. লেটারাইট মৃত্তিকা : এ জাতীয় মৃত্তিকা ক্রান্তীয় ও আর্দ্র অঞ্চলে গঠিত হয়। এ মৃত্তিকায় অ্যালুমিনিয়াম প্রচুর থাকে বলে বর্ণ ইটের মতো দেখায় । এ ধরনের মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য অনুপযোগী।

    iii. ক্রান্তীয় কৃষ্ণ মৃত্তিকা : ক্রান্তীয় অঞ্চলে লাভা গঠিত মৃত্তিকায় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতসম্পন্ন হয় বলে লাভার ক্ষয়ীভবন বেশি পরিমাণে ঘটে। এতে শিলার অভ্যন্তরস্থ টাইটানিয়াম খনিজ বিশিষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশ্রিত হয়। এ জাতীয় মৃত্তিকা যথেষ্ট উর্বর এবং পানি ধারণ করার ক্ষমতা খুব বেশি।

    iv. মরু অঞ্চলের লোহিত মৃত্তিকা : পাহাড়িয়া বা বালুকাময় মরুভূমিতে বালুকাযুক্ত লোহিত মৃত্তিকা দেখা যায়। ধৌত প্রক্রিয়ার স্বল্পতাহেতু এ জাতীয় মৃত্তিকায় লবণের পরিমাণ অধিক থাকে। ফলে তা কৃষিকাজের জন্য অনুপযোগী।

খ. নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মৃত্তিকা : ৩০° – ৬০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশীয় অঞ্চলের গঠিত মৃত্তিকাকে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মৃত্তিকা বলে ৷ এ অঞ্চলের মৃত্তিকার পার্শ্বচিত্র ও সংযুক্ত সুউন্নত এবং দীর্ঘস্থায়ী। এ অঞ্চলের মৃত্তিকা তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ

    i.পডজল মৃত্তিকা : এ জাতীয় মৃত্তিকা সাধারণত সরলবর্গীয় বৃক্ষের অরণ্য অঞ্চলে দেখা যায়। এ মৃত্তিকা অগ্নিক অবস্থায় থাকে। চুয়ানি পদ্ধতির মাধ্যমে মৃত্তিকার উপরিস্থিত স্তর হতে বিভিন্ন জাতীয় পদার্থ তলায় জমা হয়। এ স্তরকে পডজল চারকদের মৃত্তিকা বলে।

    ii. ধূসর বাদামি পড়জল মৃত্তিকা : পডজল ও বাদামি মৃত্তিকার মধ্যবর্তীতে এ মৃত্তিকা দেখা যায়। এ জাতীয় মৃত্তিকায় ধৌত প্রক্রিয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এতে ধূসর স্তরের পরিবর্তে বাদামি স্তর বিদ্যমান।

    iii. বাদামি মৃত্তিকা : এ মৃত্তিকা পর্ণমোচী বৃক্ষের অরণ্যযুক্ত অঞ্চলে গঠিত হয়। এটি উর্বর এবং কৃষিকার্যের জন্য উপযোগী

গ. হিমমণ্ডলীয় অঞ্চলের মৃত্তিকা : বিশেষ করে পৃথিবীর উত্তর মেরু অঞ্চলে অত্যধিক শীতল ও তুষার দ্বারা বরফে আবৃত থাকে। ফলে রাসায়নিক বা জৈবিক কোনো প্রক্রিয়াই এ অঞ্চলে মৃত্তিকা গঠনে সাহায্য করে না। গ্রীষ্মের জলাভূমির সৃষ্টি হওয়ায় ‘পীট বক’ জাতীয় মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়।

ঘ. শুষ্ক ঋতুভিত্তিক অঞ্চলের মৃত্তিকা : সাধারণত যে অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০” চেয়ে কম, এসব অঞ্চলে এ ধরনের মৃত্তিকা দেখা যায় । এ ধনের মৃত্তিকা দুই ধরনের। যথা : i. চেস্টনাইবঙ্গের মৃত্তিকা এবং ii. সিরোজম মৃত্তিকা।

ঙ. বিশেষ ঋতুতে বৃষ্টিপাতসম্পন্ন অঞ্চলের মৃত্তিকা : এটি স্টেপ অঞ্চলের বিখ্যাত কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল। বৃষ্টির স্বল্পতাহেতু ধৌত প্রক্রিয়া খুব কম থাকে বলে এ জাতীয় মৃত্তিকার নিম্নস্তরে চুন জাতীয় পদার্থ সঞ্চিত থাকে। এ মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য বেশ উপযোগী।

২. আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা

যে মৃত্তিকায় স্থানীয় প্রভাবের আধিক্য এবং পানি নিষ্কাশন পদ্ধতি সৃজনকারী পদার্থ প্রভৃতির বৈশিষ্ট্য জলবায়ু ও উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অপেক্ষা অধিকতর বিদ্যমান থাকে, তাকে আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা বলে। এ জাতীয় মৃত্তিকা তিন প্রকারের হয়ে তাকে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো।

ক. লবণাক্ত মৃত্তিকা : অম্লজানের পরিমাণ এ মৃত্তিকায় খুব বেশি এবং মৃত্তিকার উপরিভাগে ধূসর পাতলা লবণের স্তর বিদ্যমান। অধিক লবণের পরিমাণ থাকে বলে এতে পানি নিষ্কাশিত হয় না। লবণাক্ত মৃত্তিকা দুই প্রকার। যথা :

    i. সোলনচক : পর্যাপ্ত লবণ সম্পন্ন স্যালাইন মৃত্তিকাকে সোলনচক মৃত্তিকা বলে। এ প্রকার মৃত্তিকার উপরের স্তরে লবণ থাকে।

    ii. সোলনেজ : পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে মৃত্তিকার উপরিস্থ লবণ চুয়ানো প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ফলে মৃত্তিকার উপরের লবণাক্ততার পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পায়। এরূপ কম লবণসম্পন্ন মৃত্তিকাকে সোলনেজ মৃত্তিকা বলে। 

খ. পীট মৃত্তিকা : মৃত্তিকা গঠনের একটি উপাদান পীট। জৈব পদার্থের পরিমাণ যে মাটিতে বেশি থাকে, তাকে পীট মৃত্তিকা বলে ৷ পীট মৃত্তিকা নিম্নোক্ত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ শুষ্ক পীঠ মৃত্তিকা, বোগপীট মৃত্তিকা, তৃণবহুল পাঁট মৃত্তিকা, ফিলপীট মৃত্তিকা প্রভৃতি।

গ. ক্যালসিয়াম মৃত্তিকা : যে মৃত্তিকা চুনাপাথর বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্বারা গঠিত তাকে ক্যালসিয়াম মৃত্তিকা বলে। এ জাতীয় মৃত্তিকা কার্বন ডাইঅক্সাইড ধারণকারী বৃষ্টির পানিতে দ্রবণীয়, এ মৃত্তিকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায় । যথা :

    i. রেন্ডজিনা মৃত্তিকা : সাধারণত কালো বর্ণের এবং মৃত্তিকা পৃষ্ঠ ভঙ্গুর ও প্রায় দানাদার বিশিষ্ট, যা তৃণভূমি অঞ্চলে দেখা যায়, তাকে রেন্ডজিনা মৃত্তিকা বলে।

    ii. টেরারোজা মৃত্তিকা : চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সমতল থেকে নিম্নভূমিতে যে মৃত্তিকার সমাবেশ ঘটে, সে মৃত্তিকাকে টেরারোজা মৃত্তিকা বলে।

৩. অপরিণত মৃত্তিকা

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যেসব মৃত্তিকা এখনো পুরোপুরি কৃষিকাজের উপযোগী হয়ে ওঠেনি, এরূপ মৃত্তিকাকে অপরিণত মৃত্তিকা বলে। মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো।

ক. পার্বত্য মৃত্তিকা : হিমবাহে বাহিত মধ্যাকর্ষণজনিত ভূমি ধসের ফলে প্রস্তরখন্ড দ্বারা সৃষ্ট মৃত্তিকাকে পার্বত্য মৃত্তিকা বলে।

খ. পলল মৃত্তিকা : নদী অববাহিকা অঞ্চলে নদীবাহিত বালু, কাদা প্রভৃত সঞ্চিত হয়ে যে উর্বর মৃত্তিকা গঠিত হয়, তাকে পলল মৃত্তিকা বলে।

গ. সামুদ্রিক মৃত্তিকা : সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে সমুদ্রের তলানি দ্বারা যে মাটি গঠিত হয় তাকে সামুদ্রিক মৃত্তিকা বলে।

ঘ. হৈমবাহিক মৃত্তিকা : হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চল হিমবাহ কর্তৃক সৃষ্ট গ্রাব আকারে যে মাটি পাওয়া যায়, তাকে হৈমবাহিক মৃত্তিকা বলে।

ঙ. বায়ুবাহিত মৃত্তিকা : উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল গতিসম্পন্ন বায়ু দ্বারা বাহিত বালুকা রাশি দূরে নীত হয়ে উদ্ভিদের সংস্পর্শে যে মৃত্তিকায় পরিণত হয়, তাকে বায়ুবাহিত মৃত্তিকা বলে।

চ. আগ্নেয় মৃত্তিকা : অগ্ন্যুতপাতের ফলে লাভা ক্ষয়ীভূত হয়ে যে মৃত্তিকার সৃষ্টি করে, তাকে আগ্নেয় মৃত্তিকা বলে।

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পৃথিবীর উপরিভাগের আবরণ হলো মৃত্তিকা । পৃথিবীর প্রধান শ্রেণিবন্ধনকৃত মৃত্তিকা নানাপ্রকার নিয়ামক দ্বারা গঠিত। এদের মধ্যে জলবায়ুর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু ও উদ্ভিদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত মৃত্তিকা সৃষ্টি। মৃত্তিকা কৃষিকাৰ্য, শিল্প বাণিজ্য কেন্দ্র তথা বৃহৎ জনসংখ্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে মৃত্তিকার শ্রেণিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ