আসরের নামাজের নিয়ত (বাংলা উচ্চারণ), কয় রাকাত ও হাদিস

 

আসরের নামাজের নিয়ত (বাংলা উচ্চারণ), কয় রাকাত ও হাদিস

আসরের নামাজ কয় রাকাত

আসর নামাজ মোট ৮ রাকাত
  • ৪ রাকাত সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ
  • ৪ রাকাত ফরয

আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

نويت أن أصلى لله تعالى أربع ركعات صلوة العصر سنة
رسول الله تعالى مـتـوجـهـا إلـى جـهـة الـكـعـبـة الـشـريـفـة الله
اكبر

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবাআ' রাকয়াতি সালাতিল আ’সরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়ত: আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর উদ্দেশ্যে আসরের চার রাকয়াত সুন্নাত নামাজ আদায়ের নিয়ত করিলাম, আল্লাহু আকবার ।

আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজের নিয়ত

আসরের চার রাকাত ফরয নামাজের নিয়ত

نويت أن أصلى لله تعالى أربع ركعات صـلـوة الـعـصـر فـرض
الله تعالى متوجها إلى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিল আ'সরি ফারদুল্লাহি তা'আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়ত: আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর উদ্দেশ্যে আসরের চার রাকয়াত ফরজ নামাজ (এই ইমামের সহিত) আদায় করিবার নিয়ত করিলাম, আল্লাহু আকবার।

[জামাআতে ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ আদায় করা হলে নিয়ত করার সময় ফারদুল্লাহি তাআলা শব্দ বলার পরে বলতে হবে ইকৄতাদাহতু বিহা-যাল ইমাম। তারপর বাকী অংশ বলে নিয়ত পুরা করবে।]

আরো পড়ুনঃ যোহরের নামাজের নিয়ত

আসরের নামাজ নিয়ে হাদিস

আসর নামাজের গুরুত্ব

হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যার আসরের নামাজ তরক হয়ে গেল, তার যেন সমস্ত পরিবার ও ধন-সম্পদ লুট হয়ে গেল। (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আসর নামাজ তরক করেছে তার আমল বিনষ্ট হয়ে গেছে। (বুখারী)

আসর নামাজ বিলম্বে আদায় করা মুনাফিকের লক্ষণ

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, তার নামাজ মুনাফিকের নামাজ যে ব্যক্তি বসে সূর্যের অপেক্ষা করে। যে পর্যন্ত না সূর্য হলদে হয় এবং শয়তানের দুই শিং এর মধ্যস্থানে আসে। তখন সে উঠে চার ঠোঁকর মারে, তাতে সে আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে । (মুসলিম)

আসরের নামাজের ফযীলত

হযরত উমারাহ ইবনে রুআইবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি মহানবী (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, এমন কোন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে নামাজ আদায় করেছে। অর্থাৎ ফজর ও আসর। (মুসলিম)

আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের ফযীলত

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক অনুগ্রহ করেন সেই ব্যক্তির প্রতি, যে ব্যক্তি আসরের ফরযের পূর্বে চার রাকাত নামাজ (সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ) আদায় করে। (আহমদ, তিরমিযী ও আবূ দাউদ)

আসরের নামাজের সময়

কোন বস্তুর ‘আছলী ছায়া’ বাদে ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আছর নামাজের সময়। কিন্তু সূর্যের রং হলদে হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আছর নামাজের মুস্তাহাব ওয়াক্ত। তারপর মাকরূহ ওয়াক্ত। মাকরূহ ওয়াক্তে অর্থাৎ যখন সূর্যের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন আছর নামাজ আদায় করা মাকরূহ।
অবশ্য যদি কোন ওযর বশতঃ ওই দিনের আছর নামাজ আদায় করা না হয়ে থাকে, তবে ওই সময়ই আদায় করে নেবে। নামাজ কাযা হতে দেবে না। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হয়ে যাবে, যাতে পুনরায় পূর্বের ন্যায় দেরী না হয়। অবশ্য এ সময়ে ওই দিনের আছরের নামাজ ব্যতীত কাযা, নফল বা অন্য কোন নামাজ আদায় করলে দুরস্ত হবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ