পরমাণু ও অণুর মধ্যে পার্থক্য

 

পরমাণু ও অণুর মধ্যে পার্থক্য

যখন পদার্থ নিয়ে আলোচনা করি তখন নিশ্চয় পরমাণু ও অণু নিয়ে জানার আগ্রহ থেকে যায়। পরমাণু ও অণু একটি পদার্থের অভ্যন্তরীণ মূল গঠনের একক। পরমাণুকে মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক বলা হলে অণুকে যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক বলা যায়। পরমাণু ও অণুর পার্থক্য জানতে পারলেই, পরমাণু ও অণুকে নিয়ে অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে।

পরমাণু অণুর মধ্যে পার্থক্য

পরমাণু

 অণু

যেকোনো পদার্থের বিশেষ করে মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নামে হচ্ছে পরমাণু।

এক বা একাধিক পরমাণু মিলিত হয়ে যে পদার্থ তৈরি করে, তাকে অণু বলে।

পরমাণু হচ্ছে মৌলিক পদার্থের একক।

অণু হচ্ছে যৌগিক পদার্থের একক।

পরমাণুতে কেবল একটি মোল থাকে।

অণুতে এক বা একাধিক মৌল থাকে। এক বা একাধিক মৌল মিলে যৌগ গঠন করে।

পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন, ও নিউট্রন আয়ন বা কণা থাকে।

পরমাণু দিয়ে যেহেতু অণুর তৈরি, তাই অণুতেও ইলেকট্রন, প্রোটন, ও নিউট্রন কণা থাকে তবে পরমাণুর চেয়ে বেশি থাকে।

পরমাণুতে ইলেকট্রন থাকায়, পরমাণু স্থির বা সুস্থিত অবস্থায় থাকে না। কারন, ইলেকট্রন কণা পরমাণুতে অনবরত ঘুরতে থাকে।

অণু এক বা একাধিক পরমাণুর মিলনে গঠিত হয়, যার ফলে অণু একটি স্থির বা সুস্থিত অবস্থায় উপনীত হয়।

পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন, ও নিউট্রন কণা নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণিত অবস্থায় থাকে, যার ফলে পরমাণুর আকৃতি গোলাকার হয়ে থাকে।

অণুতে অনেক পরমাণু থাকায়, অণুর আকার ত্রিভুজাকার বা রৈখিক আকৃতির হয়ে থাকে।

পরমাণুতে পারমাণবিক বন্ধন থাকে।

অণুতে সমযোজী বন্ধন থাকে।

পরমাণু অন্যান্য কণা বা পদার্থের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায়।

অন্যান্য কণা বা পদার্থের সাথে অণু পরমাণুর চেয়ে কম প্রতিক্রিয়া দেখায়।

পরমাণুর উদাহারন

অক্সিজেন পরমাণু – O

হাইড্রোজেন পরমাণু – H

নাইট্রোজেন পরমাণু – N

ক্লোরিন পরমাণু – Cl

 

অণুর উদাহারন

অক্সিজেন অণু – O2

ওজোন গ্যাসের অণু – O3

হাইড্রোজেন অণু – H2

নাইট্রোজেন অণু –N2

ক্লোরিন অণু – Cl2

পানির অণু – H2O

লবনের অণু – NaCl

সালফিউরিক এসিডের অণু – H2SO4

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ